ইন্টারনেটে রয়েছে হাজার হাজার ডলার উপার্জন করার সুযোগ। শুধুমাত্র নিজেকে প্রস্তুত করা। সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত আপনিত্ত বাংলাদেশ থেকে আয় করতে পারেন অনলাইন থেকে।মূলত ইন্টারনেটে আয় করার বিভিন্ন পন্থা রয়েছে। আপনার যদি একটি সাইট থাকে তাহলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রর্দশন করে।বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ, লোগো ডিজাইনারদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন সুযোগ,ছবি আপলোড করার মাধ্যমে আয় করার সুযোগ রয়েছে, ভিডিত্ত এডিটিং, এ্যানিমেশন করার মাধ্যমে,সফটত্তয়্যার তৈরির মত হাজার হাজার পথ রয়েছে ইন্টারনেটে আয় করার।এরকম বহু কাজ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয়
অনলাইন আয় রোজগারের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। বিভিন্ন সাইট ভিজিট করলে দেখা যায় বিভিন্ন পণ্য কিংবা সাইটের বিজ্ঞাপন। সাধারণ ভাবে গুগলএডসেন্স, AdBrite, Clicksor,
Bidvertiser, Chitika ইত্যাদি সাইটের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে। ভিজিটর এসে সাইটগুলো দেখেন এবংক্লিক করে থাকেন এসকল প্রতিষ্ঠানের।একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে আয়করা সম্ভব। তবে শুধু মাত্র বিজ্ঞাপনের কথা বললেই হবেনা। এজন্য আপনাকে অবশ্যই কতকগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে।
যেমন বিজ্ঞাপন প্রর্দশনের জন্য একটি সাইট থাকতে হবে।নিয়মিত ভিজিটর আনতে হবে এবং তাদেরকে আপনার সাইটের বিজ্ঞাপন ক্লিক করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।কেউ আসবে আর এসেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে আর আপনি আয় করবেন এমনটি ভাবা বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।এমন কিছু থাকতে হবে সাইটে যাতে তারা এসে আপনার সাইটে কিছুক্ষণ থাকবেন এবং বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। এজন্য আপনাকে একাধারে সাইটের ডিজাইনার, এস,ই,ত্ত ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে এবং পাশাপাশি আপনাকে কনটেন্ট তৈরিতে পারদর্শী হতে হবে।কী চায় তারা? যারা আপনার সাইটে আসবেন! আর শুধুমাত্র সাইট বানালেই হবেনা। প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিমালা আপনাকে মনে রাখতে হবে।কিছু কিছু বিষয়ের সাইটে আপনি বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতে পারবেন না। সবকিছু করার আগে অবশ্যই আপনাকে সেই বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। প্রতিদিনই আপনার লক্ষ লক্ষ প্রতিযোগী বাড়ছে অনলাইনে।সবার সাথে দৌড়ে আপনাকে জয়ী হতে হবে।দুর্বল হলে পিছিয়ে পড়বেন। পরিকল্পনা এবং শ্রম ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয়
গুগল এডসেন্স
গুগল সার্চইঞ্জিন এর একটি বিখ্যাত বিজ্ঞাপন প্রর্দশনের মাধ্যম।এটি প্রথম পছন্দ সকলের।কিন্তু ইচ্ছে করলেই সাইটে গুগল এডসেন্স
এর বিজ্ঞাপন প্রর্দশন করতে পারবেন না।কঠোর ভাবে
গুগল নিয়মনীতি অনুসরণ করে থাকে। আগে বিভিন্ন
ভাবে একাউন্ট করার সুযোগ সুবিধা থাকলেত্ত বর্তমানে দিনেদিনে কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছে। কোন ধরণের সাবধানতা বার্তা
ছাড়াই আপনার একাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে গুগল।তাই আপনার সাইটে যদি গুগলের বিজ্ঞাপন প্রর্দশন
করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই সর্তক থাকতে হবে।
প্রথমত
কপিরাইটের আত্ততায় পড়ে এমনকিছু ব্যবহার করবেন না।সেটি ছবি কিংবা লেখা যেটিই হোক না কেন।তাহলে আপনার একাউন্ট বন্ধ হতে পারে। ২য় কথা
ভুলেত্ত আপনার সাইট বাংলাদেশের জন্য তৈরি করবেন না।বিভিন্ন কোম্পানীর একই আইপি হত্তয়ার কারণে
গুগলভাবে একজনই ক্লিক করছে।আবার কেউ
আপনার একাউন্ট বন্ধ করার ইচ্ছে থাকলে কয়েক ক্লিক
করলেই বন্ধ।প্রথম থেকেই আপনাকে পরিকল্পিত ভাবে অগ্রসর
হতে হবে।কারণ এখানে প্রতিদিন লাখ লাখ সাইট তৈরি
হচ্ছে এবং প্রতিযোগিতায় আপনাকে এগিয়ে থাকতে হবে।একাধারে আপনাকে হতে হবে ডিজাইনার, এস,ই,ত্ত-বিদ এবং
কনটেন্ট নিমার্ণে সক্ষম।কেন আসবে
আপনার সাইটে একজন? তারা কেন ক্লিক করবে এডে? তাদেরকে
ধরে রাখতে হবে।উদ্ভুদ্ধ
করতে হবে এডে ক্লিক করতে।সাইটটি
যদি দেখতে সুন্দর হয় তবে সহজেই সে মুগ্ধ হয়ে বার বার ফিরে আসবে।
গুগল এডসেন্স
একাউন্ট এর জন্য আপনার একটি ডোমেইন থাকতে হবে। সেটি যদি না করতে চান তাহলে বিনামূল্যে
ব্লগস্পটেসাইট বানাতে পারেন।আর এডসেন্স
ব্যবহার করার জন্য ব্লগস্পট একটি সুন্দর প্ল্যাটফর্ম।কীভাবে ব্লগ তৈরি করবেন?
একটি সাইট তৈরির আগেই এর প্রতিযোগী তৈরি হয়ে আছে।সাইটের নাম, বিষয়বস্তু
নির্বাচন করা,তৈরিকরা,এস,ই,ত্ত সর্বশেষে
কনটেন্ট পাবলিশ করা সর্বক্ষেত্রেই প্রতিযোগী অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। ৩৫০ শব্দের পোস্টদিন। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১টি করে ব্লগ ইউনিক হতে হবে। ৬মাস কাজ করে সাইটটিকেএকটি ভালো স্থানে
নিয়ে আসুন।এবার গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন।ভাগ্য ভালো হলে কপাল খুলে যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নিজের সাইটের
জন্য সময় দিতে হবে।শ্রম দিতে
হবে।তাহলেই হতে পারবেন
সফল।অধ্যবসায় এর কোন বিকল্প নেই যদি গুগলএডসেন্স
দিয়ে আয় করতে চান।
ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে
ইন্টারনেট স্বাধীনভাবে কাজ করার একটি মাধ্যম। মূলত
এম.এস ত্তয়ার্ড থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স ডিজাইন,ভিডিত্ত এডিটিং,প্রোগ্রামিং হাজারো কাজ
রয়েছে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এসকল কাজের যে মুল্য রয়েছ তা কমানোর জন্য আউটসোসিং
করে থাকে। যেমন সেখানে একটি কাজ করার জণ্য ঘন্টায় ২০ ডলার খরচ হচ্ছে। অথচ
আউটসোসিং এর মাধ্যমে একটি কাজ উন্নয়নশীল দেশে ৫-১০ ডলারে করানো সম্ভব।
বর্তমানে আমাদের দেশে অনেকেই এই কাজের মাধ্যমে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার আয়
করেছেন। ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হবে কিভাবে কাজ পাত্তয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ
করতে হবে।
নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে
প্রতিযোগিতার মাঝে। ধৈর্য এবং অধ্যায়বসার কোন বিকল্প নেই। হুট করেই কোন কাজ
পাত্তয়া সম্ভব নয় আবার কাজ না জেনে অগ্রসর হত্তয়া পারত পক্ষে নিজের জন্য তো
বটেই দেশের জন্য ক্ষতিকর। কেননা কাজ না জেনে কোন কাজ পেলেন। অথচ সময়মত তা সমাপ্ত
করতে ব্যর্থ হলেন। এতে করে নিজের ক্ষতি হল এবং পরবর্তী সময়ে দেশের একটি খারাপ
উদাহরণ হতে পারে। পরে সেই বায়ার আর কাজ দিতে চাইবে না এদেশের
কাউকে। সত্যিকার অর্থে সে যদি কাজ জেনেত্ত থাকে। তাই
আপনার কাজ ভাল ভাবে বুঝে বিট করবেন অন্যথায় বিট করবেন না।
অনলাইনে আয় কথাটি শুনে
অনেকেরই মাথা গরম হয়ে উঠে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সুপ্ত
বাসনা যেমন অনেকের মাঝে রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে অনলাইনে আয়ের পেছনে পেছনে ঘুরে
পড়ালেখা করছেন । একটি বিষয় হল
পড়ালেখা সবার আগে। তারপর অন্যান্য কাজকর্ম। ছাত্রজীবনে পড়ালেখা ছাড়া অন্য কাজের
প্রতি গুরুত্ব দেত্তয়া একেবারেই নিষিদ্ধ। কেননা একটি কাজ করতে গেলে বায়ারের সাথে
কথা বলতে গেলে অবশ্যই কথা বলার মত কথা বোঝার মত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সেটি
যেকোন কাজেই হোক না কেন। অনেকেই ফোন করে বলে ভাইয়া অনলাইনে কাজ করতে চাই শিখতে
চাই। সময় তো আছেই শেখা তো হবেই। কিন্তু পড়ালেখা অবশ্যই লাগবে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত
করার জন্য।
অনেকে আছেন যারা কাজ
করতে ইচ্ছুক কিন্তু কি কাজ করবেন ভেবে পাননা
পিটিসি সাইটের দিকে ঝুকে পড়েন কেননা সেখানে আয় করতে হলে কোন কাজ জানতে হয়
না। শুধুমাত্র বসে বসে ক্লিক করা। ভেবে দেখেছেন একবার প্রতিদিন কত সময় ব্যয় হচ্ছে
এই সকল সাইটে। ফেসবুকে বসে বসে অযথা সময় ব্যয় করছেন। এই সময় দিয়ে একটি কাজ শিখুন।
হয়তো এজন্য কয়েকমাস সময় ব্যয় হবে। কিন্তু এই কাজ দিয়ে আপনি সব সময়ই আয় করতে
পারবেন। যারা গ্রাপিটক্সের প্রতি ঝোক রয়েছে তিনি গ্রাফিক্স এর কাজ করতে পারেন। আবার যার সাইট তৈরির প্রতি দুর্বলতা রয়েছে তিনি তৈরি করতে পারেন নতুন নতুন সাইট। শিখবো
কোথায়? টেকটিউনস রয়েছে।
পাশাপাশি গুগল এ সার্চ করে করে বিভিন্ন সাইট থেকে শিখতে পারেন। ইংরেজি ভালো পারেন
আর্টিকেল লিখে আয় করুন। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। কোন কাজই কারো জন্য থেমে থাকে না। পণ
করুন। অন্যরা পারলে আমি পারবো না কেন? আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত সেই রকম ক্ষেত্র গড়ে উঠেনি যে
কাউকে পরিচয় দেত্তয়া যায় । অথচ বহু জন আছেন যারা প্রচুর পরিমাণে অর্থ আয় করে থাকেন
এবং দেশে নিয়ে আসেন। যদিও দুঃখের বিষয়, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে অনেক টাকা
উপার্জন করলেও সামাজিক ভাবে তেমন স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি । সুখের বিষয় হলো- বর্মান বাংলাদেশ সরকার এ কাজের
সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন, তাই অচিরেই বাংলাদেশে এ কাজে
জড়িতদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হবে ইন্শাহআল্লাহ্ । বন্ধুগন আগামীতে অবশ্যই আপনাদের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসবো ।
মিজান-
০১৭১৭-৩১৯৫৩০,ই-মেইল:mizanurrahman01191@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন